Description
লাল চিনি কে আমরা অর্গানিক আঁখের রসের পাউডার বলতে পারি। যা তৈরি হয় সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ও স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে। যা কোন মেশিনের সাহায্যে তৈরি করা হয় না বা রিফাইন করা হয় না। আমাদের জানা মতে এই লাল চিনি শুধুমাত্র ময়মনসিংহ জেলায় তৈরি হয়।
অন্য কোন জেলায় তৈরি না হওয়ার কারণে বাইরে লাল চিনি তেমন কেউ চেনেন না। ইংরেজ শাসন আমলের উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে বাংলাদেশের প্রস্তুত লাল চিনি প্রচুর পরিমাণে ব্রিটেনে রপ্তানি হতো।
এই চিনি তৈরি করতে প্রথমে আঁখ থেকে রস বের করা হয়, তারপর চুলায় জ্বাল দিতে দিতে সে রস শুকিয়ে ফেলা হয়। শুকানোর পর সেই রস অনেকটা পাউডারের মত হয়ে যায়। সেই পাউডার মসলিন কাপড় দিয়ে চেলে মিহি পাউডার গুলি আলাদা করা হয়। এই পাউডারই হল বাংলাদেশের বিখ্যাত “লাল চিনি”।
চিনির বিকল্প হিসাবে লাল চিনি যে কোন ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন; যেমন চা, কফি, জুস, ফিরনি, পায়েস , মিষ্টান্ন, শরবতে ।
কঠোর পরিশ্রম বা বাইরে কাজ করে গরমে বাসায় ফেরার পর যদি আপনি লাল চিনির শরবত খান আপনার সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে নিমিষেই।
লাল চিনি পিঠা এবং আচার তৈরিতেও ব্যবহার করতে পারবেন ।
স্বাস্থ্য সচেতন ক্রেতার নজর এখন আখের চিনিতে। লালচে রঙের এই চিনি স্বাস্থ্যকর হওয়া সত্ত্বেও এতদিন ভুল ধারণা থেকে এড়িয়ে চলা হতো। খোঁজ করা হতো বিট থেকে উৎপাদিত ঝকঝকে, মিহি দানার সাদা চিনি।
তবে এ প্রবণতা পুরোপুরি দূর না হলেও ভোক্তার রুচি-বোধ দিনদিন বদলে যাচ্ছে। তাদের কাছে কদর বাড়তে শুরু করেছে লাল চিনি, গুড় , খেজুরের রস ইত্যাদি।
সাদা চিনির তুলনায় পরিমাণে কম ব্যাবহার করলেও কাঙ্ক্ষিত মিষ্টতা পাওয়া যায় বলে দাম একটু বেশি হলেও পুষিয়ে যায়।
Reviews
There are no reviews yet.